Main Menu

কমলগঞ্জে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বি সংসদ সদস্যের নিজের সহোদর আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উন্নয়ন কাজের প্রতিশ্রতিসহ নানাভাবে ছোট ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা ও আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপির বিরুদ্ধে।

শুক্রবার সকাল ১১টায় উপজেলাস্থ নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তোলে ধরেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক রফিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ৪র্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে দেশ পরিচালনা করছেন। জঙ্গীবাদ নির্মূল থেকে শুরু করে তিনি দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি, কৃষি, খাদ্য, মানব সম্পদ উন্নয়ন, অবকাঠামোসহ সার্বিকভাবে ব্যাপক উন্নয়ন তরাম্বিত করে আন্তজার্তিক মহলে প্রশংসিত হচ্ছেন। স্থানীয় সরকার কাঠামোর অন্যতম অংশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার সাথে আনারস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ এর আপন ছোট ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল। ৬ বার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে তিনি নৌকা প্রতিকে নির্বাচিত এমপি আব্দুস শহীদ নিজ ভাই ইমতিয়াজ আহমদ এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এমপি সরকারি প্রটোকল ব্যবহার করে কমলগঞ্জের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতিসহ নানাভাবে নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে ভোটারদের ভাইয়ের পক্ষে আনার চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত ও নৌকা মার্কার একজন এমপি হয়ে তিনি আজ আওয়ামী লীগ ও নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের ও দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহবানসহ নানা অপচেষ্টা করছেন এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। আব্দুস শহীদ এমপি নিজ এলাকায় অবস্থান করে তাঁর ভাইকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার যে নানামুখী তৎপরতা একজন সংসদ সদস্য হিসাবে আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও সামিল।

আগামী ১৮ মার্চ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হওয়ার আশা ব্যক্ত করে রফিকুর রহমান আরও বলেন, সংসদ সদস্যের আচরণবিধি লঙ্ঘনের এসব অভিযোগ বিষয়ে গত ৫ মার্চ রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সংসদ সদস্যের এসব কর্মকান্ডের তিনি তীব্র নিন্দা জানান।

অভিযোগ সম্পর্কে মৌলভীবাজার-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ উপাধ্যক্ষ এম এ শহীদ মোবাইলফোনে বলেন, সরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ও সভা সমিতিতে উপস্থিত থাকলেও নিজের ভাই প্রার্থীর পক্ষে কোন প্রচারণা করিনি। এছাড়াও কোন চেয়ারম্যান/মেম্বারদেরকে নির্বাচন বিষয়ে কোন চাপ দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, নিজ বাড়িতে আসার পর একজন সাংসদ হিসেবে চেয়ারম্যান/মেম্বারসহ নানা পেশার মানুষজন উন্নয়ন কর্মকান্ডে দেখা করতে আসতে পারে এটাই স্বাভাবিক।

Share





Related News

Comments are Closed