Main Menu

পাঁচ জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৫

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, কক্সবাজার এবং কুমিল্লায় পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৫ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি- নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত দলের সদস্য।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর পার-গেণ্ডারিয়া, নগরীর নিরালা কবরস্থান সংলগ্ন দীঘিরপাড়, কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ঝড়িকান্দি, কক্সবাজারের টেকনাফে এবং ময়মনসিংহের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

রাজধানী
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, কিছু সন্ত্রাসী পার-গেণ্ডারিয়া এলাকায় অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিার রাতে পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন শনাক্ত করে সে কুখ্যাত মাদক বিক্রেতা হযরত আলী।

কক্সবাজার
টেকনাফে শালবাগান আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে আনসার কমান্ডারকে হত্যাকারী ও অস্ত্র লুটের ঘটনার মূল নায়ক শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুরুল আলম র‌্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

র‌্যাব জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ময়মনসিংহ
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামল আকন্দ জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ মাঠে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক ভাগাভাগি করছে খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রথমে পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ পরে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়।

পরে তল্লাশি করে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ (৫০) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুমিল্লা
কুমিল্লার তিতাস থানা পুলিশের ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে দড়িকান্দি সেতু এলাকায় একদল ছিনতাইকারী এক বিকাশ ডিলারের ৫৮ লাখ টাকা ছিনতাই করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ২ সদস্যকে ১৫ লাখ টাকাসহ আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে আটক আল-আমিনকে সঙ্গে নিয়ে জেলা ডিবি পুলিশ ও তিতাস থানা পুলিশ অবশিষ্ট টাকা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিতাসের দড়িকান্দি নামক এলাকায় পৌঁছালে একদল ডাকাত পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে আল-আমিনকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। ডাকাতদের একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে আল-আমিনের ওপর পড়ে। এতে সে আহত হয়। এ সময় আমরা তাকে প্রথমে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

খুলনা
খুলনা মহানগরের পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে নিরালা দীঘিরপাড় কবরস্থান এলাকায় মাদক উদ্ধারে অভিযান চালায় সদর খানা পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে মাদকবিক্রেতা মাসুদ কামাল রানা (৩৫) নিহত হন।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি পাইপগান, একটি চাপাতি, একটি বড় ছোরা ও ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে পুলিশ। নিহত মাদকবিক্রতা মাসুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানার একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান পুলিশে এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

Share





Related News

Comments are Closed