Main Menu

ক্রিসেন্ট গ্রুপ ও জনতা ব্যাংকের ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক : জনতা ব্যাংকের এক হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় রাজধানীর চকবাজার থানায় পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ক্রিসেন্ট গ্রুপের সাত চেয়ারম্যান ও পরিচালক এবং জনতা ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তাকে আসামী করা হয়েছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে রোববার মামলাগুলো করেন। মামলায় আসামিরা হলেন- ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ কাদের, রূপালী কম্পোজিট লেদার লিমিটেডের পরিচালক সামিয়া কাদের নদী, ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্ট লিমিটেডের পরিচালক সুলতানা বেগম, পরিচালক রেজিয়া বেগম, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজ ও ব্যবস্থপনা পরিচালক লিটুন জাহান মীরা ও মেসার্স লেক্সকো লিমিটেড পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ।

জনতা ব্যাংকের আসামিরা হলেন- জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মনিরুজ্জামান, মো. সাইদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিনিয়ার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মাগরেব আলী, মো. খায়রুল আমিন, বাহারুল আলম, এজিএম মো. আতাউর রহমান সরকার, এস এম শরীফুল ইসলাম, ডিজিএম (বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি) মো. রেজাউল করিম, ডিজিএম মুহাম্মদ ইকবাল, একেএম আসাদুজ্জামান, কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি মো. জাকির হোসেন ও ডিমডি ফখরুল আলম।

জানা গেছে, জনতা ব্যাংক থেকে নেয়া মোট ঋণের মধ্যে ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্ট লিমিটেডের ৫০০ কোটি ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৯, ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডর ৬৮ লাখ ৩৪ হাজার ৯৫ হাজার ১২০, লেক্সকো লিমিটেডের ৭৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৯, রূপালী কম্পোজিট লেদার লিমিটেডের ৪৫৪ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ ও রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ৬৪৮ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৭ টাকা। ভুয়া রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতে এফডিবিপি ও প্যাকিং ক্রেডিটের জন্য ক্রিসেন্ট গ্রুপের ওই প্রতিষ্ঠানসমূহ জনতা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখা থেকে এ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে।

দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. গুলশান আনোয়ার, সহকারী পরিচালক-টিম লিডার মো. নিয়ামুল আহসান গাজী গত সেপ্টেম্বরে অনুসন্ধান শুরু করেন। তদারককারী কর্মকর্তা ছিলেন পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।

Share





Related News

Comments are Closed