Main Menu

ভিক্ষুকমুক্ত হচ্ছে নীলফামারী জেলা

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলাকে ভিক্ষুক মুক্তকরণে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (৪ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভিক্ষুক মুক্তকরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি-বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এতে সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন।

বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন ভূইয়া।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নীলফামারী জেলায় ৫ হাজার ৩০৫ জন ভিক্ষুক রয়েছেন। এদের মধ্যে নীলফামারী সদরে ৯৯৪ জন, সৈয়দপুরে ৫৩৫ জন, কিশোরগঞ্জে ১২৫৪ জন, জলঢাকায় ৪০৮ জন, ডিমলায় ৯৮৩ জন এবং ডোমারে ৫৭৪ জন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১ হাজার ২৫৪ জনকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্তকরণে ভিক্ষুকমুক্ত করার একটি অংশ।
যার আলোকে নীলফামারীতে ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িতদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের চাহিদার ভিত্তিতে পুনর্বাসন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি চলমান থাকবে এবং তাদের সরকারিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করে ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে। যা আজ থেকে শুরু হলো জেলায়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এ অঞ্চলে এখন আর মঙ্গা নেই ঠিকই, মানুষের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে।
বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিক্ষুকমুক্ত করতে সর্বাত্মক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। তারই বাস্তবায়ন করছি আমরা।
নীলফামারীতে যারা ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে পুনর্বাসন কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করা হবে। এটি চলমান থাকবে এবং ভিক্ষুকমুক্ত হবে নীলফামারী কয়েক বছরের মধ্যে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ৩৫ জন ভিক্ষুকের মধ্যে একটি করে কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

Share





Related News

Comments are Closed