Main Menu

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি…ইলাহে রাজিউন)।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর বাড্ডার আফতাব নগরে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ চক্রবর্তী বলেন, ‘আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁকে সকাল সোয়া ছয়টা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন চিকিৎসকেরা প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নিজ বাসায় মারা গেছেন।’

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছেলে সামীর আহমেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃতদেহ আফতাব নগরে নিজ বাসায় রাখা হয়েছে। শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিয়ে আসা হবে শহীদ মিনারে।

প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দেশের একজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব। একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। ১৯৭০ দশকের শেষ লগ্ন থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সঙ্গীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন।

তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কার-সহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে মেঘ বিজলি বাদল ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।

সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, সৈয়দ আব্দুল হাদি, এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, খালিদ হাসান মিলু, আগুন, কনক চাঁপা-সহ বাংলাদেশি প্রায় সব জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল নিয়মিত গান করেন ১৯৭৬ সাল থেকে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সূত্র জানায়, রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে শিল্পী বুলবুলের মরদেহ। পরের দিন বুধবার সকাল ১১ টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

সর্বোস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা ১২টা পর্যন্ত শহীদ মিনারে রাখা হবে বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুলের মরদেহ। সেখান থেকে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

তবে দাফনের ব্যাপারে এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ জানান, এ ব্যাপারে একমাত্র ছেলের সাথে কথা বলে পরে সিন্ধান্ত নেয়া হবে।

Share





Related News

Comments are Closed