Main Menu

তামিমের ব্যাটে খুলনার হার

স্পোর্টস ডেস্ক : তামিম ও এনামুলের ১১৫ রানের ওপেনিং জুটির উপর ভর করে ১৮২ রানের পাহাড়সম রান তাড়া করে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ফলে বিপিএলের এবারের আসরে ৬ ম্যাচ খেলে ৪ জয় পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দলটি । এদিকে টেবিলের তলানীতে থাকা খুলনা সিলেটে এসে প্রথম জয় পেলেও জয়ের দ্বারা ধরে রাখতে পারেনি বড় সংগ্রহ করেও। ম্যাচে তামিমের ৭৩ ও এনামুল ৪০ রানের ইনিংস মূলত খুলনাকে জয় দেখতে নেয়নি।

১৮২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরু থেকে ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন এনামুল হক।মাত্র ২৮ বলে তামিম এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটি তুলেন।দলীয় ১১৫ রানে তামিম ৭৩ রান করে মালিঙ্গার বলে ফিরে । এরপর ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়ে এনামুলও ৪০ রান করে মাহমাদউল্লাহর বলে নাজমুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের রাস্তা ধরেন। মধ্যখানে অধিনায়ক ইমরুল ১১ বলে ২৮ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন। তবে ইমরুল ক্রিজ ছেড়ে আসার পর পরই শামসুর ১,ডসন ৪ রানে ফিরলে ম্যাচে প্রথমবারের মতো চাপে পড়ে কুমিল্লা। তবে শেষ দিকে পেরেরা ১৮ ও আফ্রিদির ১২ রানের উপর ভর করে ২ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা ।

খুলনার হয়ে জুনায়েদ ৪টি এবং মালিঙ্গা ও মাহমুদউল্লাহ ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

আগের ম্যাচে জয় পাওয়ার পর এই ম্যাচেও জয় পেতে মরিয়া ছিলো খুলনা। কারণ পয়েন্ট টেবিলে খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই মাহমুদউল্লাহরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস খুলনাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানান। প্রথমে ব্যাট করে জুনায়েদের ৭০ রানের উপর ভর করে কুমিল্লাকে ১৮২ রানের টার্গেট দিয়েছে খুলনা।

বিপিএলে টস হারলেও ঝড়ো সূচনা করে খুলনা টাইটান্স। যদিও প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে সাইফুদ্দিনের বলে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন জহুরুল ইসলাম। তবে প্রথম উইকেট পতনের পর পর হাত খুলে খেলতে থাকেন জুনায়েদ ও আল আমিন। ডেভিড উইজের বদলে আজকে খেলতে নেমে সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করেন আল আমিন। তার সঙ্গে যোগ দেন জুনায়েদ। দুজনেই ঝড়ো ব্যাটিং বজায় রাখেন পাওয়ার প্লেতে। ৬ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৬৫ রান তুলে টাইটান্সরা।দলীয় ৭৩ রানে আল আমিনকে শহীদ আফ্রিদি বোল্ড করলে ভাঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট ৭১ রানের জুটি। তিনি ১৯ বলে ৩২ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস উপহার দেন দর্শকদের।

তবে আল আমিন ফিরে গেলে ও অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন জুনায়েদ। পার টাইম স্পিনার শামসুর রহমানকে ওভার বাউন্ডারি মেরে ৩০ বলে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ক্রিজে নেমে শুরু থেকে মারমুখি ছিলেন। দুটি ছক্কার সাহায্যে ৯ বলে ১৬ রান করে তাকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় উইকেট শিকার করেন আফ্রিদি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মালানকে সঙ্গি করে জুনায়েদ গড়েন ৫০ রানরে জুটি। দলীয় ১৪৫ রানের মাথায় ৪১ বলে ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে রান আউটে কাঁটা পড়েন জুনায়েদ সিদ্দিক। তার ৭০ রানের ইনিংসে ৪ টি ওভার বাউন্ডারির সাথে ৪টি বাউন্ডারির মার ছিলো।শেষ দিকে মালান ২৯, ব্র্যাথওয়েট ১২ ও আরিফুল ১৩ রান করলে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৮১ করে খুলনা টাইটান্স।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আফ্রিদি ৩টি ,রিয়াজ ২টি ও সাইফুদ্দিন ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

খুলনা একাদশ: মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), জুনায়েদ সিদ্দিক, ডেভিড মালান, নাজমুল হোসেন শান্ত, আরিফুল হক, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, তাইজুল ইসলাম, লাসিথ মালিঙ্গা, জুনায়েদ খান, জহুরুল ইসলাম ও আল আমিন।

কুমিল্লা একাদশ: ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), এনামুল হক, তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, থিসারা পেরেরা, শামসুর রহমান, শহীদ আফ্রিদি, লিয়াম ডসন, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদী হাসান ও জিয়াউর রহমান।

Share





Related News

Comments are Closed