Main Menu

সিলেটের ছয়টি আসনে ভোট যুদ্ধে ৪৪ প্রার্থী

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: আজ রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে ভোটযুদ্ধ শুরু হবে। চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণের সব ধরণের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে মাঠে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। সিলেটের ৬টি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ৪৪জন প্রার্থী লড়ছেন।

এর মধ্যে মর্যাদার আসন খ্যাত সিলেট-১ (সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলা) আসনে দশজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোমেন (নৌকা), বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের দেওয়ানুল হক চৌধুরী (হাত পাখা), বাসদের প্রণব জ্যোতি পাল (মই), বিল্পবী ওয়ার্কাস পার্টির উজ্জল রায় (কোদাল), খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা নাসির উদ্দিন (বটগাছ), এনপিপির ইউসুফ আহমদ (আম), ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হক (মিনার) ও মুসলিম লীগের আনোয়ার উদ্দিন বোরহানাবাদী (হারিকেন) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী (লাঙ্গল), খেলাফত মজলিসের মুহাম্মদ মুনতাছির আলী (দেওয়াল ঘড়ি), গণফোরামের মুকাব্বির খান (উদিয়মান সূর্য), ইসলামী আন্দোলনের মো. আমির উদ্দিন (হাত পাখা), এনপিপির মনোয়ার হোসাইন (আম) ও বিএনএফ এর মোশাহিদ খান (টেলিভিশন) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। বিএনপির তাহসীনা রুশদীর লুনার মনোনয়ন উচ্চ আদালতের রিটে স্থগিত হওয়ায় আসনটিতে বিএনপি জোটের কোন প্রার্থী নেই; একই ভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়ায় নৌকার প্রার্থীও নেই এখানে।

সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (নৌকা), বিএনপির আলহাজ্ব শফি আহমদ চৌধুরী (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির উসমান আলী (লাঙ্গল), খেলাফত মজলিসের মো. দিলওয়ার হোসাইন (দেওয়াল ঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা আতিকুর রহমান (রিক্সা) ও ইসলামী আন্দোলনের এম এ মতিন বাদশা (হাতপাখা) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ইমরান আহমদ (নৌকা), বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের দিলদার হোসেন সেলিম (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির আহমেদ তাজ উদ্দিন তাজ রহমান (লাঙ্গল), বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মনোজ কুমার সেন (কোদাল) ও ইসলামী আন্দোলনের জিল্লুর রহমান (হাতপাখা) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

সিলেট-৫ (কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ) আসনে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের হাফিজ আহমদ মজুমদার (নৌকা), জাতীয় পার্টির আলহাজ্ব সেলিম উদ্দিন (লাঙ্গল), ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক (ধানের শীষ), গণফোরামের বাহার উদ্দিন আল রাজী (উদীয়মান সূর্য), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শহীদ আহমদ চৌধুরী (হারিকেন), ইসলামী আন্দোলনের মো. নুরুল আমিন (হাতপাখা), ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ মতিন চৌধুরী (মিনার) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল মুনির চৌধুরী (সিংহ) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।

সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা), বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের ফয়সল আহমদ চৌধুরী (ধানের শীষ) ও ইসলামী আন্দোলনের মো. আজমল হোসেন (হাতপাখা) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। এ আসনে বিকল্পধারার শমসের মবিন চৌধুরী (কুলা) প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

ইতোমধ্যে ভোট গ্রহণের সব ধরণের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণে মাঠে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। সিলেটের ৬টি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ৪৪জন প্রার্থী লড়ছেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে নির্বাচিত করবেন সংশ্লিষ্ট আসনের ভোটাররা।

সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এম কাজী এমদাদুল ইসলামের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের মোট ৬টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ৪৪ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ ৫২ হাজার ৭৬৪ জন। মোট কেন্দ্র- ৯৯২টি। একটি সিটি কর্পোরেশন ও ১৩টি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত এ জেলায় মোট ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে সিলেটের জেলা রিটানির্ং কর্মকর্তা কার্যালয় ও উপজেলায় সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ভোটের সামগ্রী কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ভোটের দিনে ১৫ হাজার ২৫৪জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া নির্বাচন নির্বিঘœ করতে ১৪ ইউনিট সেনাবাহিনী, ২৯.৫ প্লাটুন বিজিবি, ৩০০ র‌্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সিলেটের ৬ সংসদীয় আসনের ৯৯২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ) কেন্দ্র ৬০৭ টি। এসব কেন্দ্রে নিয়মিত ফোর্সের পাশাপাশি বিশেষ নজরদারী করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্যে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম জানান, সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন । এছাড়াও মোবাইল টিম স্ট্রাইকিং ফোর্সও রয়েছে।

সিলেটের রিটানির্ং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কাজী এম এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া জেলা রিটানির্ং কর্মকর্তা ও উপজেলায় সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনিটরিং সেল খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Share





Related News

Comments are Closed