আজ গণতন্ত্র মুক্তি দিবস
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: আজ ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্র মুক্তি দিবস, স্বৈরাচার পতনের ২৮ বছরপূর্তি। ১৯৯০ সালের এই দিনে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনতার দুর্বার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন ঘটে।
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে এরশাদ সরকার বাংলাদেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে গণবিরোধী ধারা প্রবর্তন করে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা তৎকালীন স্বৈরশাসকের ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হন।
একপর্যায়ে ঘুরে দাঁড়ায় গণতন্ত্রকামী মানুষ। সারাদেশে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শ্লোগানের মধ্য দিয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে এবং এরশাদ সরকারের পতন ঘটে।
আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। ঢাকা পলিটেকনিকের ছাত্র মনিরুজ্জামান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করার ঘোষণা দেন। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর হরতাল চলাকালে নূর হোসেনকে স্বৈরাচার এরশাদের বাহিনী গুলি করে। তখন নূর হোসেনের বুকে-পিঠে লেখা ছিলো ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।
ওই দিনই সেনা ও পুলিশ বাহিনী আমিনুল হুদা টিটোকে মেরে লাশ গুম করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এরশাদ সরকারের পতনের আন্দোলনে নেমে পড়ে। আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এক পর্যায়ে এরশাদ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। দীর্ঘ প্রায় ৯ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর।
স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর থেকে দিবসটিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন নামে পালন করে আসছে। দিনটিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’, বিএনপি ‘গণতন্ত্র দিবস’ এবং এরশাদের জাতীয় পার্টি ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো এটিকে ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ হিসেবেও পালন করে।
Related News
ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে আজ। কোথাও কোথাও শিলাRead More
স্বাধীনতা দিবসে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখRead More
Comments are Closed