প্রোগ্রামিংয়ে দেশসেরা শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়
শাবি সংবাদদাতা: মওদুদ আহমেদ শাহরিয়ার, জুবায়ের আরাফ, অভিষেক পাল। তিনজনই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি ঝোঁক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে থেকেই। সিএসইতে ভর্তি হয়ে সেই ঝোঁকটাতে মনোনিবেশ করলেন সর্বোচ্চভাবেই। যারই ধারাবাহিকতায় এ বছর প্রোগ্রামিং দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাকর ইভেন্ট ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের (এসিএম আইসিপিসি) ঢাকা সাইটে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাচ্ছেন ওয়ার্ল্ড ফাইনালে।
২০১৯ সালের এপ্রিলে র্তুগালে এ প্রতিযোগিতায় সারা বিশ্বের বাঘা বাঘা প্রোগ্রামার অংশ নেবেন।
গত ১০ নভেম্বর ঢাকার ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে ঢাকা সাইটের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল পর্যায়ে অংশ নেয় ২৯৮টি টিম। তার মধ্যে শাবির ‘সাস্ট ডেসিফ্রেডর’ টিম একমাত্র ছয়টি সমস্যার সমাধান কর চ্যাম্পিয়ন হয়। অন্যদিকে পাঁচটি করে সমাধান করে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো টিম। ঢাকা সাইটের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়ে শাহজালাল ও বুয়েটের এই দুটি দলই ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্তুগালে অনুষ্ঠিতব্য প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশ নেবে।
শাবির এই দলের কোচ একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, ২০১৪ থেকে বিভাগের বিভিন্ন টিমকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০০৫-০৬ সেশনের শিক্ষার্থীও ছিলেন।
দলের এ ধরনের সাফল্যের মূলমন্ত্র সম্পর্কে কোচ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পরিশ্রম ও পরিকল্পনা’ এর ওপর ভিত্তি করেই তারা কাজ করছেন। ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী মওদুদ এবারের টিমের দলনেতা। গতবারও ওয়ার্ল্ড ফাইনালিস্ট ছিলেন তিনি। এ পর্যন্ত ২০টার মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি।
মওদুদ জানালেন, প্রোগ্রামিংয়ে হাতেখড়ি তার বড়ভাই মাহফুজ আহমেদ খানের হাতে যিনি বুয়েট থেকে পাস করে বর্তমানে একটি সফটওয়্যার ফার্মে চাকরি করছেন। গুগল কিংবা ফেসবুকে কিছুদিন চাকরি করে দেশে ফিরে তরুণদের নিয়ে কিছু করতে চান এমনটাই জানান মওদুদ।
অন্যদিকে জুবায়ের আরাফ ১০টার মতো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন, যার সেরা সাফল্য ঢাকা সাইটের চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আপাতত লক্ষ্য সামনের বারও ওয়ার্ল্ড ফাইনালে যাওয়া। অভিষেক পাল ২০১৫-১৬ সেশনে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেও ভর্তি হন শাবিতে। তারও সর্বোচ্চ সাফল্য এবারই কোনো প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সুযোগ পেলে বাইরের প্রলোভন ছেড়ে দেশেই কিছু করতে চান বলে জানান তিনি।
লক্ষ্য এশিয়া রিজিওনে চ্যাম্পিয়ন : ওয়ার্ল্ড ফাইনালে এর আগে ছয়বার গেলেও সর্বোচ্চ সাফল্য ৫৬তম স্থান অর্জন। তবে এবার সবকিছুকে ছাপিয়ে সাউথ এশিয়ান অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফিরতে চান মওদুদ, জুবায়েররা।
শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ওরা যা করেছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের।
Related News
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আইইএলটিএস ছাড়াই যেতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রে
বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চাইলে সাধারণত ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা দিতে হয়।Read More
জাবির নতুন প্রক্টর হলেন ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির
জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগেরRead More
Comments are Closed