Main Menu

গোলাপগঞ্জে মাদ্রাসার ভূমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: সিলেটের গোলাপগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফুলসাইন্দ দারুল ক্বেরাত দাখিল মাদ্রাসার ভূমি আত্মসাতের পাঁয়তারা চলছে। ভূমিদাতার নাম ভাঙ্গিয়ে ভূমি দখলের মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। তারা ইতিমধ্যে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মঙ্গলবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ফুলসাইন্দ দারুল ক্বেরাত দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আব্দুল গফুর।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটির ভূমিদাতা ফুলসাইন্দ পূর্বটিলা গ্রামের মরহুম সরফ উদ্দিন। পিতার সূত্র ধরে তার লন্ডন প্রবাসী পুত্র মোঃ ফারুক উদ্দিনসহ পরিবারের সদস্যরা মাদ্রাসার কার্যক্রর্মে জড়িত। মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলের সাথেই ফারুক উদ্দিনের পরিবার পরিজনের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। অথচ, ফারুক উদ্দিনের বাড়ীর কেয়ার টেকার একই গ্রামের মৃত সমর আলী উরফে কালা মিয়ার পুত্র জিলাল উদ্দিন, তার স্ত্রী রোসনা বেগম এবং তাদের সহযোগী মৃত মছব্বির আলীর পুত্র খলিল উদ্দিনসহ একটি চক্র মাদ্রাসার ভূমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রবাসী ফারুক উদ্দিন সরল বিশ্বাসে জিলাল উদ্দিনকে আমমোক্তার নিয়োগ করলে তিনি সুযোগের অপব্যবহারে লিপ্ত হন। ফারুক উদ্দিনকে না জানিয়ে মাদ্রাসার ভূমি দখল করতে গোলাপগঞ্জ উধর্তন সহকারী জজ আদালতে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে স্বত্ব মোকদ্দমা দায়ের করে। পরবর্তীতে এ মামলার রায় ও ডিগ্রীর অসম্মতিতে স্বত্ব আপিল মোকদ্দমা দায়ের করেন। সেটিও খারিজ হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রবাসী ফারুক উদ্দিন মাদ্রাসার ভূমিকে নিষ্কণ্ঠক করতে বিগত ২২/০২/২০১৮ইং নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এ ব্যাপারে কোন প্রকার আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না মর্মে ঘোষণা দেন এবং আমমোক্তার নামা বাতিল করেন। আমমোক্তারনামা বাতিল হওয়ার পর প্রবাসী ফারুক উদ্দিন কেয়ার টেকার জিলাল উদ্দিন ও সহযোগীদের বাড়ি ছাড়তে বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির মালিক উক্ত প্রবাসীকে হুমকী দেয়। যার প্রেক্ষিতে প্রবাসী ফারুক উদ্দিনের গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় জিডির প্রেক্ষিতে এসআই শংকর চন্দ্র দেব তদন্তে ঘটনার সত্যতা পান।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভূমিখেকো চক্রটি দিন দিন আরো মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে মাদ্রাসার দরজায় আগুন ধরিয়ে দেয় ভাংচুর করে এবং মাদ্রাসার দরজা জানালায় বারুদের গুড়া ছিটিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে তিনি জিলাল উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে এজাহার দায়ের করলে গোলাপগঞ্জ থানার এসআই রাজেন্দ্র প্রসাদ দাসের সরজমিন তদন্তে আইন শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় দ্রুত বিচার আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। এ মামলার আসামী খলিল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত খলিল জেলে আটক রয়েছে। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এ চক্রটি। গত ৩০ অক্টোবর মাদ্রাসার একটি কক্ষে জুয়াসহ অসামাজিক কার্যকলাপ চালাতে থাকে। বাধা দিলে রেহান উদ্দিনের পুত্র রিদওয়ান উদ্দিনসহ তার সহযোগীরা তাকে হুমকী দেয়। যার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা সুপার বিষয়টি গোলাপগঞ্জ থানাকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। এই স্বার্থান্বেষী চক্রের কারণে মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়ন ও ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে বলেও জানান।’

মাদ্রাসা সুপার দাবী করেন, ‘এ চক্রটি অবৈধ ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের ভূমি রক্ষায় উচ্চ আদালতের রায়ের অপেক্ষার কথা বলে মিথ্যাচার করছে। প্রকৃত পক্ষে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন না হয়েই কাল্পনিক ও বিভ্রান্তকর তথ্য পরিবেশন করছে।’ সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসা সুপার দ্বীনি প্রতিষ্ঠানকে যারা কুলষিত করতে চাচ্ছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ফুলসাইন্দ দারুল ক্বেরাত দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন, সহ সুপার মাওলানা আব্দুল মোমিদ, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা সাদিকুর রহমান, মাওলানা এবাদুর রহমান, মাওলানা মহসিন আহমদ প্রমুখ।

Share





Related News

Comments are Closed