Main Menu

পানিতে ডুবে এমসি কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পানিতে ডুবে রাহুল দেব রায় (২২) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রীমঙ্গল সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, বুধবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রাহুল শ্রীমঙ্গল শহরের হাউজিং স্টেট এলাকার পুকুরে ডুবে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাজ্জাদ রাহুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পরিবারের লোকজন রাহুল হঠাৎ নড়ে উঠছে টের পেয়ে ‘ছেলেটি মারা যায়নি’ বলে কর্তব্যরত ডাক্তারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তারা হাসপাতালের গ্লাস ভাঙচুর করেন।

পরবর্তীতে ডা. সাজ্জাদ শ্রীমঙ্গল থানায় খবর দিলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ বলেন, তারা রাহুলকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারপরও তাদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আমি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেছিলাম।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইটও) ডা. জয়নাল আবেদিন টিটু বলেন, ছেলেটি পানিতে ডুবেই মারা যায়। আমাদের হাসপাতালের দু’জন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ এবং ডা. মহসীন ছেলেটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। তার এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ভাঙচুর করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডের দক্ষিণ ভাড়াউড়ায় রাহুলদের বাসায় গিয়ে সরেজমিন দেখা যায়, শোকে আচ্ছন্ন পুরোবাড়ি। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুকে মেতে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী।

নিহতের ছোটভাই রিমেন দেব রায় বলে, ‘খেলার কথা বলে হাউজিং স্টেট যায় দাদা। তার (রাহুল) পরনে ছিলো প্যান্ট ও টি-শার্ট। দাদার সঙ্গের অপর তিন জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে দাদা সাঁতার জানতো।’

ডুবে মারা যাওয়া রাহুল দেব রায়ের বাবা গৌরাঙ্গ দেব রায় শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের অফিস সহকারী। রাহুল এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের স্নাতক বিভাগে ভর্তি হয়। গত মঙ্গলবার রাহুল তার অসুস্থ ঠাকুমাকে দেখতে শ্রীমঙ্গল আসে।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার এস আই রখিকুল ইসলাম জানান, নিহত রাহুলের সহপাঠীরা হালকা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালে ভাংচুর চালায়, পরবর্তীতে আমি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়সহ কয়েকজন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে রাহুলের সহপাঠীদের বুঝিয়ে রাহুলের লাশটি মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি।

Share





Related News

Comments are Closed