Main Menu

৭৫ লাখ পর্যন্ত গৃহঋণ পাবেন সরকারি চাকুরিজীবীরা

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: বাড়ি তৈরি বা ফ্ল্যাট কিনতে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। ১০ শতাংশ হারে এই ঋণ পাওয়া যাবে। তবে এর ৫ শতাংশ বহন করবে সরকার।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।

রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) ওই এমওইউতে সই করে।

এসময় জানানো হয়, ঋণের বিপরীতে সরকারি কর্মচারীদের সুদ দিতে হবে ৫ শতাংশ। প্রচলিত বাজার দরে সুদের হার যা-ই হোক না, ৫ শতাংশের বাইরের অংশটুকু রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বহন করা হবে।

আগামী ১ অক্টোবর থেকেই এই ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে। তবে সরকারের যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বেতন-ভাতা তোলার দিক থেকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, তারাই ঋণের আবেদন আগে করতে পারবে।

অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, সব সরকারি কর্মচারীকে এ ঋণের আওতায় আনতে দুই বছর সময় লেগে যেতে পারে।

গত ৩০ জুলাই অর্থ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি কর্মচারীরা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন। তবে ৫৬ বছর বয়সী কর্মচারীরাও আবেদন করতে পারবেন। চাকরির গ্রেড অনুযায়ী ঋণ দেওয়া হবে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। ঋণ পরিশোধের সর্বোচ্চ সময় ২০ বছর।

বর্তমানে ১০ শতাংশ সুদহারে একজন সরকারি কর্মচারী সর্বোচ্চ ঋণ পান এক লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু নতুন নীতিমালা অনুযায়ী উপসচিব থেকে সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তারা, জাতীয় বেতন স্কেলের পঞ্চম থেকে প্রথম গ্রেডভুক্তরা ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি এ ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ কিংবা ফ্ল্যাট ক্রয় করতে পারবেন।

সর্বনিম্ন ১৮ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীরা ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন ও বিভাগীয় সদরে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাবেন।

Share





Related News

Comments are Closed