Main Menu

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভূমি দখল পায়তারার অভিযোগ

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: সিলেট বিমানবন্দর থানাধীন ছালিয়া মৌজায় সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে জাল দলিলের মাধ্যমে ভূমি দখল পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি সদস্য দিলোয়ার হোসেন দিলুসহ একটি চক্রের বিরুদ্ধে এ দখল পায়তারার অভিযোগ করেছেন সিলেট সদর উপজেলার ছালিয়া কলারতল গ্রামের তেরা মিয়ার কন্যা রুমানা বেগম।

বুধবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে রুমানা বেগম বলেন, ‘পৈত্রিক ভূমিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলাম। সম্প্রতি যুবদল নেতা ও ইউপি সদস্য দিলোয়ার হোসেন দিলুর অত্যাচার-নির্যাতন আর মিথ্যা মামলায় আমরা পলিয়ে বেড়াচ্ছি।’

তিনি বলেন, সদর উপজেলার ছালিয়া মৌজায় ১০৪ শতক ভূমির মালিক ছিলেন আমার পূর্বসূরী আহমদ উল্লাহ। ১৯৫৬ সালের রেকর্ডের মূলে আমরা এই ভূমির বৈধ ও প্রকৃত মালিক। উত্তরাধিকার সূত্রে আমাদের দখলেও রয়েছে এই ভূমি। উক্ত ভূমির মধ্যে ১৫ শতক ভূমি বিক্রি করা হয়। বাকী ৮৯ শতক ভূমির মালিক এখনো আমার পরিবার। কিন্তু সেলেটমেন্ট কর্মকর্তা কিতিষ রঞ্জন প্রভাবিত হয়ে আমাদের রেকর্ডিয় ও দখলে থাকা ভূমি অন্যদের নামে রেকর্ড করে দেন। এ বিষয়ে আমরা রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা করলে সেটেলমেন্ট অফিসার আলী আক্কাস সরেজমিন তদন্ত করেন। তদন্তে সেটেলমেন্ট অফিসার কিতিষ রঞ্জনের অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে।

রুমানা আরো বলেন, ছালিয়া বড়বাড়ীর মৃত নেপুর মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন, দিলোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন, জামিল হোসেন ও কামিল হোসেনসহ একটি চক্র আমাদের ভূমি দখল ও আত্মসাতের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। চক্রটি জাল দলিল তৈরি করে আমাদেরকে উদ্দেশ্যমূলক-মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কয়েক নেতা ও এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ এ চক্রটিকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে।

তিনি বলেন, ‘গত ৩০ আগস্ট ভূমিখেকো চক্রটি আমাদের বাড়ীতে হামলা করে ঘর-দরজা ভাংচুর করে। এতে আমাদের পরিবারের ৪ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। থানায় অভিযোগ দেয়ার পরও পুলিশ আমাদের অভিযোগ আমলেই নেয়নি। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। অথচ মামলা রেকর্ডের মূহূর্তেও আমাদের লোকজন হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে গত ২৪ মার্চ একইভাবে আমাদের ভূমি দখলের উদ্দেশ্যে হামলা করে। আমার বোনদেরকে অপহরণ করে তুলে নেয়ারও হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ২৭মার্চ এয়ারপোর্ট থানার জিডি করি। জিডি নং ১১৩৩। আমাদের বিরুদ্ধে একে একে ৩টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। জামিন নিয়ে বাড়ী ফেরার পর আরো একটি নতুন মামলা করা হয়েছে। ইউপি সদস্য দিলু আমাদেরকে একঘরে করে রাখা হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে রুমানা বেগম তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ও জান-মাল রক্ষায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে রুমানার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Share





Related News

Comments are Closed