Main Menu

কমলগঞ্জের চৈতন্যগঞ্জ রাস্তার বেহাল দশা

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ ভায়া মুন্সীবাজার এর মধ্যবর্তী কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চৈতন্যগঞ্জ গ্রামে টানা বৃষ্টি আর বন্যার পানিতে ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটির বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকার শত শত লোকজন মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতে হয়ে উঠে রাস্তাটি কাদাপূঁর্ণ। দ্রæত রাস্তাটি পাকাকরনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা যায়, ৫নং কমলগঞ্জ সদর ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের চৈতন্যগঞ্জ গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি হলো ভানুগাছ ভায়া মুন্সীবাজার সড়ক। একটু বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল কাঁচা রাস্তাটিতে বড় বড় গর্ত থাকায় খালি পায়ে পথ চলতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়া জরুরি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সাসহ চালিত যানবাহনগুলোকে প্রায়ই খানাখন্দে আটকা পড়তে দেখা যায়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ও উপজেলা ও জেলাসদরসহ এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে যোগাযোগ ক্ষেত্রে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে ওই কাঁচা রাস্তাটি। কিন্তু মাত্র ২ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকাকরণ না করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামবাসী।
চৈতন্যগঞ্জ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নিরঞ্জন কুমার দাশ, চৈতন্যগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এসএমািস সভাপতি শেখ মো: জরিফ মিয়াসহ গ্রামবাসীরা বলেন, ভানুগাছ ভায়া মুন্সীবাজার এর মধ্যবর্তী ধলাই নদীর উপর নির্মিত সেতুটির দুই পাশে মাত্র দেড়-দুই কি:মি: রাস্তা পাকা না থাকার কারনে অল্পবৃষ্টিতে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তটি পাকাকরণ হলে ওই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
স্থানীয় মোটরসাইকেল চালক শেখ মো: বেলাল মিয়া জানান, শুধু ওই রাস্তাই নয় এলাকার বিভিন্ন কাঁচা-পাকা রাস্তা যেন মরনফাঁদ। আর এসব রাস্তয় যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম মোটরসাইকেল চড়ে অনেকেই দূর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় প্রশাসনসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে ভূক্তভোগী এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবি, ভানুগাছ ভায়া মুন্সীবাজার নামক সড়কের চৈতন্যগঞ্জ এলাকার দুই কিলোমিটার রাস্তটি দ্রæত পাকাকরণের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কমলগঞ্জ, এর উপ সহকারি প্রকৌশলী মামুন ভূঁইয়া বলেন, চৈতন্যগঞ্জ গ্রামে ধলাই নদীর উপর নির্মিত উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ সেতুর দুই দিকে ২ কিলোমিটার রাস্তাটি পিচ্ছিল ও কাঁদাযুক্ত। এই রাস্তাটির প্রাক্কলন সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই অনুমোদন হয়ে আসবে। প্রাক্কলন অনুমোদন হয়ে আসলেই রাস্তাটির টেন্ডার করে পাকাকরণের কাজ শুরু হবে।

Share





Related News

Comments are Closed