Main Menu

ফোরলেন হচ্ছে সিলেট-তামাবিল সড়ক

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: দীর্ঘ একযুগেরও অধিক সময় ধরে বেহাল অবস্থায় পরে থাকা সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক সংস্কার কাজের উদ্যোগ নিয়েছে সিলেটের সড়ক ও জনপদ বিভাগ। আসন্ন কোরবানীর ঈদের পর পরই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

২০০১ সালে মহাসড়কটি নির্মাণের পর থেকে জৈন্তাপুর থেকে পর্যটন কেন্দ্র জাফলং পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়কের কোন সংস্কার হয়নি। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ভাঙতে ভাঙতে সড়কটিতে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক আগেই। তারপরও প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে চলছে পর্যটকবাহী গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি সিলেট-তামাবিল জাতীয় মহাসড়কের জৈন্তাপুর হতে জাফলং পর্যন্ত (তামাবিল ল্যান্ডপোর্ট কানেকটিং ও বল্লাঘাট সংযোগ সড়কসহ) সড়ক উন্নয়নে ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। অনুমোদনের ৭ মাস পর অবশেষে আসন্ন ঈদুল আযহার পর সড়কটি ফোরলেনে উন্নতি করে সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ।

সূত্র জানায়, ৬৫ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সড়কে মোট প্রস্তাবিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৩২৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ফোরলেনের উভয়পাশে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের লেন থাকবে। এছাড়াও পথচারীদের জন্য আলাদা লেন থাকবে উভয়পাশে। প্রকল্পটি এশিয়ান হাইওয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে সরকার। প্রকল্পের আওতায় ফোরলেনের এই সড়কটিতে ৩৩২ মিটার দৈর্ঘ্যের ২৩টি কালভার্ট, এল টাইপ সসার ড্রেন, ভি-টাইপ সসার ড্রেন নির্মাণ করা হবে। ১১৯ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি রেলওভার পাস, প্রয়োজন অনুসারে আটটি আন্ডারপাস ও তিনটি ওভারপাস নির্মাণ করা হবে। পোস্ট ট্রাফিক সাইন, চারটি দিক নির্দেশক সাইন, ছয়টি কংক্রিটের পোস্টসহ সড়কজুড়ে থাকবে নান্দনিক রোড মার্কিং। এছাড়া সড়ক বাঁধ প্রশস্তকরণ, আনলোড স্ট্যাক ইয়ার্ড ও এক্সেল রোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা রয়েছে। এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি) এই সড়ক উন্নয়নে অর্থায়ন করবে।

দীর্ঘদিন পর সড়কটি সংস্কারের বার্তা শোনে আশার সঞ্চার হয়েছে এলাকার পর্যটন ও পাথর কয়লা সংশ্লিষ্ট সহস্রাধিক ব্যবসায়ীর মনে। তারা মনে করছেন এখানে পর্যটকেদর চোখ ধাঁধানো নয়নাভিরাম দৃশ্যের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ের পাশাপাশি রয়েছে খনিজ সম্পদ বালু ও পাথরের বিশাল ভান্ডার। পাশেই রয়েছে তামাবিল স্থলবন্দর। তাই সড়কটি সংস্কার হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে সীমান্তবর্তী এ অঞ্চল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ জানান, পর্যটক ও স্থলবন্দর এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে সড়কটি ফোরলেন করা হচ্ছে। আসন্ন কোরবানীর ঈদের পর পরই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সিলেটের সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত জানান, সড়ক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ইতিমধ্যে একনেক’র সভায় অনুমোদন হয়েছে। বর্তমানে কাজের অনুমতির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে শীঘ্রই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

Share





Related News

Comments are Closed