Main Menu

ওসমানীতে ধর্ষণের অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসক আটক

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর সাথে থাকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। আটক চিকিৎসকের নাম মাক্কাম আহমদ মাহী (৩০)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার মোখলেসুর রহমানের ছেলে এবং ওসমানী মেডিকেলের নাক, কান ও গলা বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুরে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে হাসপাতাল থেকে আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

কোতয়ালী থানার এসি গোলাম সাদেক কাউসার দস্তগীর ধর্ষণের অভিযোগে ওসমানী হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক রোগীর স্বজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটি বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি আছে। মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছে কি না পুলিশ সেটি খতিয়ে দেখছে। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।’

নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া ধর্ষিতা কিশোরী তার অসুস্থ নানির সঙ্গে রাতে হাসপাতালে ছিলেন।

রোববার (১৫ জুলাই) মধ্যরাতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্কুলছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নগরীর বনকলাপাড়ার বাসিন্দা অসুস্থ নানির সঙ্গে রোববার রাতে হাসপাতালে ছিল ওই শিক্ষার্থী। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন ওই স্কুলছাত্রীর নানি। সেই ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় রোগীর নাতনি রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে যান। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসক মাক্কাম আহমদ মাহি তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

অভিযুক্ত চিকিৎসক মাক্কাম আহমদ মাহী

সোমবার সকালে বাবা-মা হাসপাতালে আসার পর স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তাদের জানায়।

পরে সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিক্যালের পরিচালকের কাছে চিকিৎসক মাহীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মাহীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক এ ব্যাপারে বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ওই স্কুলছাত্রীর স্বজনদের এবং ওই চিকিৎসককে নিয়ে বসি। মেয়ের পক্ষ এবং ওই ইন্টার্নের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মেয়ের পরিবারের আনা অভিযোগ মাহী অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা না হওয়ায় মাহীকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটিকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া সব ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ফুটেজ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

Share





Related News

Comments are Closed