Main Menu

তিতুমীর কলেজে দুই কর্মীকে কোপালো ছাত্রলীগ

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়েছে নিজ সংগঠনের কর্মীরা। শনিবার (১৯ মে) দুপুরে তিতুমীর কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিজ সংগঠনের প্রতিপক্ষ গ্রুপের চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত দুই ছাত্র হলেন, তিতুমীর কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল রানা এবং নিরব রানা। এদের মধ্যে সোহেল রানার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী এক ছাত্র বলেন, সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে সোহেলের মাথায়, পেটে এবং ঘাড়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এ সময় নিরবের মাথায়ও কোপ দেয় তারা। সোহেলের পেটে কোপ দিলে ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোহেল রানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

পরে দুপুর আড়াইটার দিকে সোহেল রানাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত সোহেলের মাথায় ৯টি এবং ঘাড়ে ১৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। সোহেলের পেটের অপারেশন এখনও চলমান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি সম্মেলনের মাধ্যমে কলেজ শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি করা হয় অর্থনীতি বিভাগের রিপন মিয়াকে এবং সাধারণ সম্পাদক করা হয় প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের জুয়েল মোড়লকে।

কমিটির সভাপতি কলেজ ক্যাম্পাসে অধিপত্য বিস্তার করতে তার গ্রুপের মুরাদ হাসান জন, গোলাম সরওয়ার বাবু, রাসেল, আতিক, ছোটনসহ প্রায় ১০ জনের একটি গ্রুপ শনিবার দুপুর পোনে ১টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে কলেজের সামনে অবস্থান নেয়।

এ সময় কলেজ গেট দিয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সোহেল রানা এবং নিরব রানা বের হতে চাইলে মুরাদ হাসানসহ অন্যরা তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আহত অবস্থায় সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, যখন তাদের কোপানো হচ্ছিল তখন ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি রিপন মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। মারামারি শেষে সভাপতি মোটরসাইকেলে চেপে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ বলেন, সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সম্পর্কিত কিছু লিফলেট সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করেছি। বিতরণ শেষে কলেজ থেকে বাইরে বের হওয়ার সময় গেটের সামনে বাইকে বসে থাকা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন ও সহসভাপতিসহ আরও কয়েকজন কর্মীকে নির্দেশ দেন সোহেল ও রানাকে কোপানোর জন্য। নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে তারা এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পরে সব শিক্ষার্থী ছুটে এলে তারা সেখান থেকে চলে যায়।

তিনি বলেন, এটা পূর্বপরিকল্পিত। তাই তারা আগে থেকে সঙ্গে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ওই দুজনকে হত্যা করা।

তবে ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে তিতুমীর কলেজ ছত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, মারামারির ঘটনা জানতে পেরে আমি সেখানে গিয়ে উভয়কে মিলমিশ করে দিই। পরে জানতে পারি তাদের মধ্যে আবারও মারামারি হয়েছে।

সুত্র : যুগান্তর

Share





Related News

Comments are Closed