Main Menu

যুদ্ধাপরাধ : নোয়াখালীর ৩ আসামির ফাঁসি

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নোয়াখালীর ৩ আসামিকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে চার আসামির অপর একজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে একাত্তরে নোয়াখালীর সুধারামে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। ২০ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন মো. আব্দুল কুদ্দুস। এদের মধ্যে মনসুর পলাতক। অপর তিনজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলায় শুনানি করেন জাহিদ ইমাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী তরিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, গাজী এমএইচ তামিম ও মাসুদ রানা।

সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতের কার্যক্রমের শুরুতেই নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন আদালত। এরপর রায়ের সার সংক্ষেপের প্রথম অংশ পড়েন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ও দ্বিতীয় অংশ পড়েন বিচারপতি আমির হোসেন। রায় পড়া শেষে সাজা ঘোষণা করেন তিন সদস্যের বেঞ্চ।

রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীতি ৩ অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাজা কার্যকর করতে হবে। সেইসঙ্গে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে সাজা কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে।

ট্রাইব্যুনালের মামলায় রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা যায়। সেক্ষেত্রে পলাতক আসামিকে অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, ৫ জনকে আসামি করে তদন্ত শুরু হলেও মামলার বিচারকাজ চলাকালীন অসুস্থ অবস্থায় গ্রেফতার হওয়া মো. ইউসুফ নামে এক আসামির মৃত্যু হয়। ২০১৬ সালের ২০ জুন মামলার বিচারকাজ শুরু করেন আদালত। ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ৩১টি মামলার ৭১ আসামির মধ্যে ৩ জন বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সাজাপ্রাপ্ত ৬৮ যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে ৪১ জনকে সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

Share





Related News

Comments are Closed