নাগা মরিচেই লাখপতি হতে চায় নিজাম উদ্দিন
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: মো. নিজাম উদ্দিন নাগা মরিচের চাষ করে দেড় লাখ টাকা আয় করতে চান। আয়ের জন্য তিনি পরিশ্রম করে যাচ্ছেন নিয়মিতভাবে। নিজ বাড়ির সামনে প্রায় ২২ ডিসিমেল জায়গায় এ বছর নাগা মরিচের চাষ করেছেন।
৪ ভাইয়ের মধ্যে ৩য় নিজামউদ্দিন। ৩ ভাই প্রবাসে আছেন। তারপরও নিজের পায়ে দাঁড়াতে ওই যুবকের অলসতা নেই। নিজাম উদ্দিন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের ছমির আলীর পুত্র।
গত সোমবার ১৯ ফেব্রæয়ারী নিজামউদ্দিনের নাগা মরিচের বাগান ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ মাঠে ফুল ফুটতে শুরু করেছে নাগার গাছে। ফুল ফুটায় খুশি কৃষক।
এ ব্যাপারে কৃষক মো. নিজামউদ্দিন বলেন, কৃষির প্রতি আমার আলাদা ভালবাসা। যার ফলে আমি সব সময় কৃষি নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আর বর্তমানে আমাকে বেশী আগ্রহী করে তুলেছেন রামধানা গ্রামের জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত বেলাল আহমদ ইমরান। তিনি বলেন, নিজের পায়ে দাঁড়ানো হচ্ছে আমার প্রধান কাজ। এ বছর ২২ ডিসিমেল জায়গায় ৪২৫টি নাগা মরিচের চারা রোপন করেছি। চারাগুলোতে বর্তমানে ফুল ফুটা শুরু করেছে। একটি গাছে ৪০০ নাগা মরিচ ধরার আশা আছে আমার। ৫০ পয়সা করে বিক্রি করলে প্রায় দেড় লাখ টাকা বিক্রি হবে বলে আশাবাদি সে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা। আশাকরি আমার লক্ষমাত্রা পূরণ হবে যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে।
জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক বেলাল আহমদ ইমরান বলেন, চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি বেকার, মেধাবী ও উদ্যমী যুবকদেরকে কৃষি কাজে জড়িত করার। সেই লক্ষে কাজ করছি এবং সে ধারা অব্যাহত রেখেছি।
ডাক্তার মো. শানুর আলী মামুন বলেন, খুব ভাল লাগে যুবকেরা ভাল কাজগুলো করলে। এভাবে যুবকেরা এগিয়ে আসলে বিশ্বনাথ উপজেলায় কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে বলে আমি আশা রাখি।
বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষি অফিসার আলীনূর রহমান বলেন, বিশ্বনাথের বেকার, শিক্ষিত যুবকেরা ধীরে ধীরে কৃষি কাজে এগিয়ে আসছে। যা দেশ ও জাতির জন্য খুবই ভাল। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতার প্রয়োজন আমরা ওই যুবককে সহযোগিতা করে যাব।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মো. আব্দুর রহমান বলেন, নাগা মরিচে ভিটামিন সি রয়েছে। নাগা মরিচ পরিমান মত খেলে ব্্েরইনের উপকার হয় তবে অতিরিক্ত খেলে গ্যাসটিক সমস্যা হতে পারে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগে আমি এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। যুবকেরা আরো এগিয়ে আসার দরকার বলে আমি মনে করি।
Related News
পঞ্চগড়ে দিগন্ত মাঠ জুড়ে সবুজে দোল খাচ্ছে বোরো ধানের ক্ষেতগুলো
মোঃ সফিকুল আলম দোলন, পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের ৫টি উপজেলায় দিগন্ত মাঠ জুড়ে বইছে বোরোRead More
সিলেট জুড়ে আগাম বৃষ্টিতে হাওরে সবুজ সমারোহে ধানগাছ ধূলছে
আবুল কাশেম রুমন: সিলেট জুড়ে বসন্তের আগমনে আগাম বৃষ্টি হওয়াতে, হাওরে হাওরে ফিরে পেয়েছে সবুজRead More
Comments are Closed