Main Menu

মঙ্গলের মাটিতে বিশুদ্ধ পানি!

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর প্রতিবেশি মঙ্গল গ্রহকে দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞানীরা রুক্ষ ও মৃতপ্রায় গ্রহ বলেই এতদিন ধারণা করেছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে সেই ধারণায় পরিবর্তন এসেছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র পাঠানো রোবটযান কিউরিসিটি রোভার যেসব তথ্য পাঠাচ্ছে তাতে বিজ্ঞানীরাও অবাক হচ্ছেন।

সাধারণ মানুষকে নাসা সব তথ্য না দিলেও একদল অনুসন্ধানী ঠিকই তা জনসমক্ষে নিয়ে আসছেন। ফলে লাল গ্রহ হিসেবে পরিচিত মঙ্গল’কে নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে।

সম্প্রতি নাসা’র একটি ছবি পরীক্ষা করে একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, মঙ্গলের মাটিতে বরফ হয়ে থাকা বিশুদ্ধ পানির অস্তিত্ব মিলেছে। যে পরিমাণ পানির দেখা পাওয়া গেছে তা খুব কম নয় বলেই দাবি তাদের।

ছবি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বিশাল আয়তনের একটি নদী জমাট অবস্থায় মঙ্গলের মাটিতে রয়েছে। বরফের রং এবং আলোর বিচ্ছুরণ দেখে তাদের দাবি তা পানযোগ্য হওয়াই স্বাভাবিক। অবশ্য এই দাবি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে এখনও পরীক্ষা চালানো প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তারা।

নাসা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি। তবে গ্রহটিতে যে পানি রয়েছে তা আগেই স্বীকার করে নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। তবে তা পানযোগ্য কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব হয়নি।

ফলে কৌতুহল রয়েই গেছে! অনেক দেশই এরই মধ্যে প্রতিবেশি গ্রহটিতে অভিযান পরিচালনা করেছে। নাসা এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও বরফ হওয়া পানির ধারা পরীক্ষা করে তা পানযোগ্য কিনা সে ব্যাপারেও কিউরিসিটি’র সক্ষমতা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে বিজ্ঞানীদের মনে।

নাসা’র বিজ্ঞানীরা বলে আসছিলেন, মঙ্গলে যে পানি রয়েছে তা মাটির তলে রয়েছে। এবং তা খননের মাধ্যমেই বের করা সম্ভব। তবে সাম্প্রতিক ছবি বলছে ভিন্ন কথা। মঙ্গলে পানি রয়েছে, এবং তা মাটির উপরেই রয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জড়িপ সংস্থার অন্যতম বিজ্ঞানী কলিন ডানডেস বলছেন, মঙ্গলের মাটি যতটা রুক্ষ বলে মনে করা হচ্ছিল সম্ভবত তা নয়। গ্রহটিতে অন্তত ৮টি স্থানে বরফ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জমাট হয়ে থাকা বরফ যদি মাটির উপরেই থেকে থাকে তবে তা উর্বরতাশক্তিকে কিছুটা হলেও প্রভাবিত করার কথা।

এখনও গ্রহটির অনেক স্থানই অজানা রয়ে গেছে মানুষের কাছে। স্যাটেলাইট এবং কিউরিসিটি রোভার যেসব অঞ্চলে যেতে সক্ষম হয়েছে শুধুমাত্র সেসব স্থানের ছবি ও তথ্যই মানুষের ভরসা। ফলে প্রতিবেশি গ্রহটিকে পুরোপুরি জানতে হলে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলেই মনে করেন কলিন ডানডেস।

তার মতে, গ্রহটির বর্তমান চেহারা দেখে মনে হচ্ছে সেখানে এককালে প্রাণের অস্তিত্ব থাকলেও থাকতে পারে। যেহেতু মঙ্গলের মাটি থেকে পানির অস্তিত্ব এখনও মিলিয়ে যায়নি ফলে বহুকাল আগে গ্রহটির পরিবেশ ভালো ছিল, এমন দাবি করাই যেতে পারে।

অবশ্য কলিনের সহকর্মীরা তার সঙ্গে একমত নন। মঙ্গলে যে তুষার ঝড় হয়েছিল, এমন প্রমাণ এরই মধ্যে পাওয়া গেছে। ফলে মঙ্গলের মাটিতে যদি বরফের অস্তিত্ব থাকে তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তাই বলে এটা বলা মুশকিল যে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব কোনো সময় ছিল কিংবা এখনও আছে।

Share





Related News

Comments are Closed