Main Menu

বিয়ে বাড়িতে ডাকাত দলের হানা, নিহত ৩

বৈশাখী নিউজ ডেস্ক : ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলায় ডাকাত ধরতে গিয়ে তিন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। বুধবার গভীর রাতে পৃথক এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় আরো দু’গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- সাজ্জাদ মিয়া (৩৭), সেন্টু মৃধা (৩৩) ও আব্দুল মালেক খাঁ (৩২)। আহতরা হলেন- স্বপন ব্যাপারী (২৪) ও আল আমিন ফকির (২৫)। এদের মধ্যে সাজ্জাদ ও সেন্টু আপন চাচাতো ভাই।

গ্রামবাসীরা জানান, ওইদিন রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পদ্ম নদী সংলগ্ন মৃধাডাঙি গ্রামের আনসার ফকিরের বাড়িতে বিয়ে উৎসব চলছিল। রাত আড়াইটার দিকে সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল স্পিডবোটে এসে ওই বাড়িতেই হামলা চালায়। লুটপাট করে আরেক বাড়িতে ডাকাতি করতে যায়।

টের পেয়ে গ্রামবাসীরা ডাকাতদের ধাওয়া করেন। নদীর পাড়ে গিয়ে ডাকাতদের স্পিডবোট ভাসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে থাকা ডাকাতেরা গুলি ছোড়ে। এ সময় বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাজ্জাদ মিয়া ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত হন সেন্টু মৃধা, স্বপন ব্যাপারী ও আল আমিন ফকির।

সেন্টু আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহত স্বপন ও আল আমিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রামপ্রসাদ ভক্ত বলেন, বিয়ে বাড়িতে গানবাজনার আসর ছিল। সম্ভবত সেখানেই শ্রোতা সেজে এসেছিল ডাকাতরা। রাতেই অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু কাউকে ধরতে পারেনি।

এদিকে, সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের মুন্সীরচর গ্রামে আজ ফজরের আজানের পর একদল ডাকাত হানা দেয়।

এলাকাবাসী টের পেয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে। এসময় ডাকাতরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আব্দুল মালেক নামের এক গ্রামবাসীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Share





Related News

Comments are Closed