Main Menu

কালাম-ফলিক বাস টার্মিনালের অন্তরায় : ভাড়া আদায়ে বাঁধা

বৈশাখী নিউজ ২৪ ডটকম: সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের তাজমহল রেস্টুরেন্টের ভাড়া উচ্চ আদালতের আদেশ বলে ইজারাদাররাই দাবিদার। কিšুÍ টার্মিনাল ও রেস্টেুরেন্টের ভাড়া আদায়ে অন্তরায় হয়ে আছেন জেলা বাস মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা আবুল কালাম ও জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক। তারা শুধু রেস্টুরেন্টের ভাড়া আদায়ে বাধা সৃষ্টি করছে না পুরো বাস টার্মিনাল অতীতের ন্যায় জিম্মি করে রেখেছে।
সোমবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বাস টার্মিনালের ইজারাদার ও সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মহসিন কামরান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৭ অক্টোবর তাজমহল রেস্টুরেন্টের ভাড়া আদায় করতে গেলে আবুল কালাম ও ফলিকের লোকজন হামলা করে। হামলায় আহত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য শাহীন বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। এমনকি পরিহন শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে তারা ধর্মঘটের ডাক দেয়। যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল।
মহসিন কামরান তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল তারা সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ইজারা নেন। টার্মিনালের অফিসে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিও তারা টানান। ইজারার পর বন্ধ হয়ে যায় আগের ইজারাদারের টার্মিনালের সব অবৈধ ব্যবসা। এতে গাত্রদাহ শুরু হয় কালাম ও ফলিকের। আগের ইজারাদার কালাম ও ফলিক মিলে ওই বছরের ৬টি রোডের পাওনা ৯ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। এতে আমরা উকিল নোটিশ দেই। এমনকি সিটি করপোরেশনকে বিষয়টি অবগত করার পরও তারা সমাধান করতে পারেনি।
কামরান বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য তারা আবার বাস টার্মিনাল ইজারা নেন। কিন্তু সেলিম আহমদ ফলিক একই অর্থবছর দিগুন টাকা দিয়ে টার্মিনাল ইজারা নেন। টার্মিনালকে কেন্দ্র করে তিনি আবার শুরু করেন অবৈধ মদ, জুয়া ও চাদাবাজি। এ অবস্থায় তাজমহল রেস্টুরেন্টেটি হাইকোর্টের আদেশ বলে আমরা অধিকার প্রতিষ্টা করি। ৬ জুন হাইকোর্টের ৬ মাসের আদেশ পাওয়ার পর সিটি মেয়র আপিল করেন। মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় ফলিককে টার্মিনাল সমঝে দেন মেয়র। কিন্তু এতে রেস্টুরেন্টের অধিকার ক্ষুন্ন হয়নি। সে হিসেবে গত ১৭ অক্টোবর রেস্টেুরেন্টের ভাড়া আদায় করতে গেলে তাদের লোকজন হামলা করে। এমনকি ওই ঘটনায় চাদাবাজি মামলা করা হয় আমাদের বিরুদ্ধে।
বক্তব্যে বলা হয়, ওইদিনের ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে ফলিক পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন। তারা তুচ্ছ ঘটনায় বার বার পরিবহন শ্রমিকদের লেলিয়ে সিলেটের মানুষকে জিম্মি করে আসছে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দবির আলী, যুবলীগ নেতা মাসুক আহমদ, মোসাদ্দেক হোসেন, ফরহাদ আহমদ, এসএম রাসেল, কামরান হোসেন, রাজু আহমদ, মিনহাজ আহমদ ও জয়নাল আহমদ টিপু।

 

Share





Related News

Comments are Closed