Main Menu

তিস্তা ব্যারাজের অনিয়ম লুটপাটের বিষয়ে তদন্তে দুদক

মোঃ রিমন চৌধুরী, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের বিভিন্ন অনিয়ম ও লুটপাটের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তে নেমেছে। ২০১৫ সালের ৬৪টি প্রকল্পের ব্যাপক লুটপাটের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এ তদন্ত নীলফামারীর ডিমলার ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজে অনুষ্ঠিত হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের পত্রে জানা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের আরএফকিউ ও ইমার্জেন্সি ওয়ার্ক নামে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা নদীর ডানতীর বাঁধ, বামতীর বাঁধ, প্রধান ক্যানেল, কলোনী সংস্কার ও মেরামত এবং বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্রয় সংক্রান্ত ৬৪টি প্রকল্পের কাজ কাগজে কলমে বাস্তবায়ন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের মধ্যে ভাগবাটোয়ার অভিযোগে দুদক এ তদন্তে নামে। দেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে ২০১৫ সালের আগষ্ট মাসে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬৪ প্রকল্পের টাকা লুটপাট এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ তদন্তে নামে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কায্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক (অনু: ও তদন্ত-১) আজিজুল হকের স্বাক্ষরিত দুদক/দর/৬৩/২০১৫/ নীলফামারী/(অনু: ও তদন্ত-১)/৪০৯৮৮ তারিখ ০৬/১০/২০১৬ইং নং স্বারকে গত বছরের ১৬ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার পাউবোর কর্মকর্তাদের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে মন্তব্য প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু স্থানীয় ঠিকাদারের নিকট পাউবো কর্মকর্তাগন কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রেরন করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা বীরকান্ত রায় ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সরেজমিনে তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে তদন্ত কাজ সম্পনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ কর্মকর্তাদের দুদক/সজেকা/ দিনাজ/১২৬০ তাং ০২/১০/১৭ ইং নং স্বারকে চিঠি প্রেরন করেন।
এ ব্যাপারে ডালিয়া পওর বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৪-১৫ সালের ৬৪টি প্রকল্পের বিষয়ে তদন্ত করতে বৃহস্পতিবার দুদকের তদন্তকারী প্রতিনিধি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে আসবেন।

Share





Related News

Comments are Closed